পৃথিবীর সেই সব বিকেলের আলো একে একে নিভে গেলে —সন্ধ্যা আসে ! দূরাগত— শহরের প্রান্ত থেকে কি জানি কিসের শব্দ ভেঁসে আসছে ! আমরা তিনজন— জ্যোৎস্নার আলোয় বসে আছি; আমাদের মাথার উপর হিম রাত্রি নামছে ।
■ ডাইরি / ডিসেম্বর, ২০২০
পৃথিবীর সেই সব বিকেলের আলো একে একে নিভে গেলে —সন্ধ্যা আসে ! দূরাগত— শহরের প্রান্ত থেকে কি জানি কিসের শব্দ ভেঁসে আসছে ! আমরা তিনজন— জ্যোৎস্নার আলোয় বসে আছি; আমাদের মাথার উপর হিম রাত্রি নামছে ।
■ ডাইরি / ডিসেম্বর, ২০২০
এই প্রখর রোদে বেশীক্ষণ দাঁড়ানো যায় না, অথচ
ছাঁদ বাগানের গাছ গুলোকে দেখ ! পাতা আর ফুলেরা
রোদের প্রখরতাকে সামলে নিয়ে—দিব্যি বাতাসে দোল খাচ্ছে; মনে হয় ওরা যেন কারো জন্য অপেক্ষা করছে !
আমার পাশ দিয়ে শব্দহীন একটা প্রজাপতি উড়ে গেল—ওরা প্রতিদিন নিয়ম করে এই ছাঁদ বাগানে আসে; আচ্ছা মধ্যে দুপুরে ফুলগুলো কি গভীর ঘুমে থাকে—আমার জানা নেই !
ফুটে থাকা ফুলগুলোর সাথে নিবির কখপকথন শেষে
প্রজাপতি গুলো কোথায় যেন—আবার উড়ে যায় ! আমি দুটি ফুলকে ঝরে পরতে দেখলাম !
প্রকৃতির নিয়মে সময় ফুরিয়ে গেলে কেউ ঝরে যায়, কেউ আবার উড়ে চলে যায়—অন্য কোথাও ! এই প্রখর রোদে বেশীক্ষণ দাঁড়ানো যায় না । যাই, —আমি চলে যাই . . .
■ ডাইরি / আগষ্ট
আগষ্ট, ২০২০
যাই, বন্যার পানি সড়ক থেকে কতটুকু কমলো দেখে আসি; ভোর বেলা একবার গরু গুলোর জন্য কাঁচা ঘাস খুঁজতে বের হয়েছিলাম—পাইনি;
দেখি ঐ পারায় পাওয়া যায় কিনা ! যদিও বন্যার পানিতে পচে গেছে অনেক ঘাস ! আহা, বোবা প্রাণী গুলো—কেমন করে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে !
ছোট মেয়েটার ইলিশ ভাজা দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছে হয়েছে; তার মা ঐ বোবা প্রাণী গুলোর মতো আমার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলো !
বন্যার পানি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ভাবি, আমি কৃষক মানুষ; আমাকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে; বৃদ্ধা মায়ের ঔষধ, আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন গরু গুলোর খাবার, ছোট মেয়েটার আবদার আর সংসারের সাতটা মুখ ! ওরা আমার পথ চেয়ে থাকবে;
যাই, বন্যার পানি সড়ক থেকে কতটুকু কমলো দেখে আসি . . .
■ ডাইরি / পদ্মা নদী, দোহার
আগষ্ট, ২০২০
জাফরান রঙে ভরে উঠেছে—সন্ধ্যার আকাশ
আমরা তিনজন ছাঁদের উপর বসে আছি;
সহসা—একটা এরোপ্লেন উড়ে গেল !
আজকের আকাশটা দেখে কি যেন কি মনে হলো আমাদের !
আবার যদি ধূমকেতুর দেখা পাই
বা—সেইসব রুপালী বৃষ্টি ঝড় !
আমাদের মনে এক বিস্ময় জাগে;
আমরা ছাঁদ থেকে নেমে এলাম—
মনে এখনো সেইসব রুপালী বৃষ্টি ঝড় ।
■ ডাইরি / পুরান ঢাকা
১৬ জুলাই / ২০২০
পুরান ঢাকা
কোন এক কিশোরের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন ছিল—একদিন; যদিও তা কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতো; বাতাসে দুলতে দুলতে একদিন হারিয়ে গেছে—কোন এক আকাশে; অথচ প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তি দিনে; সেই স্বপ্নটা ফিরে আসে . . .
ঢাকা / বাংলাদেশ
ফিরে গেছে চাষা সেই কবে; বিষাদের ছায়া গুলো রয়ে গেছে মাঠে মাঠে মৃত পাখি আর মরা ঘাসের গল্প—ফিরে আসে . . .
ঢাকা / বাংলাদেশ
জ্যোতিষ শাস্ত্রে মানুষের যে ভুগোল লেখা থাকে, তা আমার কখনো দেখা হয়ে উঠেনি; দেখা হয়ে উঠেনি আকাশমন্ডলের সেই সব— জ্যোর্তিময় গ্রহ, নক্ষত্রদের ! অথচ কোন এক শুক্লা তিথিতে জন্ম নেওয়া গাছটির সাথে, আমার জন্ম সনদের যোগ খুঁজে পাওয়া গেছে—সেই কবে থেকে . . .
পুরান ঢাকা / বাংলাদেশ
বিকেলের রোদে হেঁটে যায় পথিক,—
হিজলের ছায়াতল; বুনো ঝোঁপ;
মরা খাল; সাঁকো পেরিয়ে—
নি:সঙ্গ—সেই কবরস্থান; অন্ধ পেঁচাটি
বসে আছে— নি:শব্দে;
পিতা—পিতামহ আর স্বজনেরা
দিয়েছে অন্তহীন এক ঘুম—এইখানে;
তবু এই আমি,—
অযুত প্রার্থনায় দাড়িয়ে থাকি
এক প্রসন্ন সন্ধ্যায় ।
মানিকগঞ্জ, হিজুলিয়া / ডিসেম্বর ২০১৯
শুকনো ডাল
কাক বসে আছে
শীত কাঁপাচ্ছে
ডিসেম্বর, ২০১৯
নি:শব্দ মেঘ
নীলাকাশে বিস্ময়
নদী চলছে
ডিসেম্বর, ২০১৯