এই শহরে এখনো—দোয়েলেরা, শালিকেরা ঘুড়ে বেড়ায়; সেদিন পৌষ-সকালে দেখা হলো—সবুজ পাতাটির নিচে—লাল বট ফলের আশায় তারা ঘুড়িতেছে, ঘুড়িতেছে—অতপর—অন্ধকার সন্ধ্যা; নিয়ন আলো; বাদুড়ের দল ঝাঁকে ঝাঁকে উড়িতেছে—সেই সব লাল লাল বট ফলের আশায় !
এই শহরে এখনো—দোয়েলেরা, শালিকেরা বাস করে—সেই দিন; পৌষ সন্ধ্যায় !
মনিরুল আলম / রমনা উদ্যান, ঢাকা
৩০, ডিসেম্বর, ২০১৫
বাবার এই ছবিটি পুরান ঢাকার কালাম ষ্টুডিও থেকে তোলা
পি্রয় বাবা—কে নিয়ে আমার কবিতা
সোনালী আকাশ . . .
সোনালী আকাশ থেকে খসে পরা
একটি উজ্জল নক্ষত্র;
হাজারো নক্ষত্রের মেলা থেকে—চির বিদায় নেয়া;
—দূর গন্তবের দিকে ! সোনালী আকাশ এখন নিস্পন্দন !
এমনি করে খসে পড়বে—হাজারো নক্ষত্র একদিন !
তখন সোনালী আকাশে অসীম শূণ্যতা।
( পি্রয় বাবা, আব্দুল মোন্নাফ তাকুরদারের স্বরণে)
জন্ম: ৬ নভেম্বর ১৯৩৬। মৃত্যু: ২০ ডিসেম্বর ১৯৯০
সৃষ্টিকাল/এপ্রিল,১৯৯৪
১.বাবার ২৫ তম মৃত্যু বাষির্কী পালন করতে আমাদের গ্রামের বাড়ী মানিকগঞ্জের হিজুলিয়াতে গিয়েছিলাম পরিবারের সদস্যরা মিলে। অন্যান্য সদস্যের মধ্য মা, বুবলী, মেঘ আর চাচা,চাচী এবং বুবলীর বড় ভাই-ভাবী এবং ওদের বাচ্চার । আমাদের গ্রামের মসজিদে বাদ মাগরিব নামায শেষে মিলাদ এবং দোয়া পাঠ করা হয়েছে । তার কবরস্থানে গিয়ে কবরে দোয়া পড়লাম । অনেকক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এবার মা আমাদের কবরস্থানে একটা ঘর করে দিয়েছেন, যাতে বষর্ার,বৃষ্টি-বাদলে মরদেহ নিয়ে মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে । এবারের বষর্ার বাবার কবরের মাটি ধসে গিয়েছে তা সংস্কার করার উদে্যগ নিলাম।
২.১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর, বাবা— না ফেরার দেশে চলে যান । সে দিনের সংবাদটা আমরা ফোনে পেয়েছিলাম । আমি তখন বাসাতে ছিলাম, ঠিক সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফোন আসে । ফোনটা আমার মা রিসিভ করেন- ও প্রান্তের কথা ঠিক বুঝতে না পেরে, আমাকে ফোনটা দেন। আমি কথা বলে ততোক্ষণে বুঝে গেছি—আমরা, আমাদের পি্রয় বাবাকে চিরদিনের মত হারিয়ে ফেলেছি ! বাবা ব্রেন ষ্টো্রক করেছিলেন । সে দিন হাইকোর্টে তাদের বার্ষিক ডিনার পাটির্ ছিল । সেখানে অংশ গ্রহণ করে— মতিঝিল এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন । আমার বাবর আত্মার শান্তি কামনা করে সবাইকে তার জন্য দোয়া করার অনুরোধ রইল । সবাই ভাল থাকুন . . .
২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ / হিজুলিয়া, মানিকগঞ্জ
বাম পাশে আমার বাবা ,উপরের ছবি আমি এবং মেঘ নিচের ছবি আমার চাচা এবং আমি । ছবি: মনিরুল আলম বাবা তোমায় খুব দেখতে ইচ্ছা করে . . .
“বাবা” তোমাকে যে খুব দেখতে ইচ্ছে করে । কত দিন যে তোমাকে দেখি না ! বুকের মধো কষ্ট গুলো আর্তনাদ করে উঠে-বার বার । কেন যে তোমার উপর বারবার এতো অভিমান হয় আমার । আমি কাউকে বোঝাতে পারিনা . . .
আজ ২০ ডিসেম্বর আমার বাবার ২৪তম মৃতু্য বাষির্কী । ১৯৯০ সালের এই দিনে বাবা, না ফেরার দেশে চলে যান । সে দিনের সংবাদটা আমরা ফোনে পেয়েছিলাম । আমি তখন বাসাতে ছিলাম, ঠিক সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফোন আসে । ফোনটা আমার মা রিসিভ করেন- ও প্রান্তের কথা ঠিক বুঝতে না পেরে আমাকে ফোনটা দেন। আমি কথা বলে ততোক্ষণে বুঝে গেছি। আমরা আমাদের পি্রয় বাবাকে চিরদিনের মত হারিয়ে ফেলেছি।
বাবা ব্রেন ষ্টো্রক করেছিলেন । সে দিন হাইকোর্টে তাদের বার্ষিক ডিনার পাটির্ ছিল, সেখানে অংশ গ্রহণ করে মতিঝিল এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন ।
গতকাল আমরা পারিবারিক ভাবে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কোরান খতম, দোয়ার আয়োজন করেছিলাম ।
ছোট মেঘ তার দাদা’কে দেখেনি। তাঁর কাছে, তার দাদা মানে ফ্রেমে বাঁধানো এক খানা সাদাকালো ছবি আর তার দাদীর কাছে থেকে শোনা নানা গল্প কথা ।
এ মাসে আমাদের গ্রামের বাড়ী হিজুলিয়া গিয়েছিলাম। বাবা যেখানে ঘুমিয়ে আছে ২৪ বছর ধরে। বাবা আপনি ভালো থাকবেন । আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন . . .
পুরান ঢাকা, পাতলা খান লেন
২০ ডিসেম্বর, ২০১৪ মানিকগঞ্জের হিজুলিয়ায় আমাদের কবরস্থান, ১৯৩৭ সালে এটা স্থাপিত হয় । ছবিটি ২০, ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে তোলা। ছবি: মনিরুল আলম
কোন এক ঈদে আমাদের গ্রামের বাড়ী হিজুলিয়াতে এই ছবিটা তুলেছিলাম। বাম থেকে চাচা মহিদুর রহমান,দাদা আবদুর রাজ্জাক তাল্কদার,বাবা আবদুল মোন্নাফ তালুকদার। ছবি :মনিরুল আলম
Hijulia, Manikgonj, Bangladesh, December, 2015— A villager flocks of his goats for feeding in the winter morning at the village of Hijulia. This week our family member visit in our beautiful village and enjoy the winter season. A winter morning is misty and cold. There is dense fog everywhere. Sometimes the fog is so dense that the sun rays cannot seen. People in general and children get up late in a winter morning we enjoy delicious and sweet baker. Payer of date juice and many other things.
১. রাত থেকেই শিশির পড়ছে— টিনের চালের উপর শিশির পড়ার সেই শব্দটা খুব ভালো লাগছে । মাঝে মাঝে বাদুরের ডানা ঝাপটানোর শব্দটা—অনেকটা ভয় জাগানিয়া ! অনেক দিন পর আবার ফিরে এলাম আমাদের—হিজুলিয়া গ্রামে। আমার ফুপাতো ভাই, মুকুলের সাথে দেখা হলো, সে চেয়ারম্যান নিবর্াচন করবে । তাই নিয়ে বেশ ব্যস্ত দিন কাটছে তার। গ্রামের অন্যান্য স্বজনদের সাথে দেখা হলো—কথা হলো ।
ভোর রাতে আড়ত থেকে মাছ নিয়ে আসার পরিকল্পনা বাতিল করলাম। আমাদের গ্রামের বাড়ীটি দেখা-শোনার দায়িত্ব পালন করেন—খলিল ভাই, তাকে আড়ত থেকে মাছ আনার দায়িত্ব দিলাম । এখানে অনেক অনেক মাছ পাওয়া যায়—বোয়াল, শৈল, কৈ আর ছোট মাছ এ গুলো এখানকার ডাঙ্গার, তাজা মাছ । মুকুলকে বলে দিলাম— ভোরে এক হাড়ি খেজুরের রস পাঠিয়ে দিতে । অনেক দিন খেজুরের রস খাওয়া হয় না—সেই সাথে খাওয়া হয় না, খেজুরের রস দিয়ে তৈরি —পায়েস আর নানা পিঠা-পুলি ।
ভোরের কুয়াশায় অনেক অনেক দিন হাঁটি না— একা একা এই খানে । ঝরা পাতা,সরিষা ফুল আর নাম না জানা গাছের পাতার উপর শিশির বিন্দু—দেখা হয় না কতো দিন ! গ্রাম-বাংলার এই প্রকৃতির মধ্য লুকিয়ে আছে সেই সব রুপ-রহস্যে ! যা আমার কাছে অমতর্ —নিত্য দিনের । অথচ তা কতোদিন —দেখা হয়ে উঠে না আমার; এই যাপিত জীবনে ! এই বিপন্নতার দায় মেটাতে— বার বার ফিরে ফিরে আসি এই খানে— এই জীবনের কাছে। এই নির্জন ভূগোলে ! যেখানে আমার অতীত বারবার কথা কয়ে উঠে !
সরিষা ক্ষেতের আল ধরে—কবরস্থানের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে যাওয়া যায় । নির্জন এই প্রান্তটি আমার কাছে সব সময়—এক বিস্ময় ! আজ ২৫, বছর হলো— বাবা, এখানে চির নিন্দ্রায় ঘুমিয়ে, আছেন দাদা-দাদী, বড় ফুপু আর কত শত স্বজনেরা —তারা এখানে দিয়েছেন দীঘর্ ঘুম। মাঝে মাঝে আমার কাছে মনে হয়—হয়তোবা তাদের স্বানিধ্য পাবার আশায় বার বার ঘুরে-ফিরে; ফিরে আসি এই খানে— যেখানে সরিষা ফুলের হিম গন্ধ পাই—আমার নি:শ্বাসে ।
যতো দূর চোখ যায়; শুধু হলুদ সরিষার আঁকাবাঁকা রেখা । ঘন কুয়াশার মাঝে দেখতে পাই —ভোরের লাল সূযর্ উকি দিচ্ছে এই নির্জনে— নি:শব্দে পথ হাটতে থাকি, ধুসর কুয়াশায় হঠাৎ একটা কুকুরের দেখা পাই— আঁকাবাঁকা শুকিয়ে যাওয়া খালটির নালায় তার পিপাসা মেটায় । কবরস্থান পেছনে ফেলে হাঁটতে হাঁটতে দেখা হয়ে যায়— হিজল গাছটির ডালে বসে আছে—ভোরের দোয়েল ! নাম না জানা সেই হলুদ পাখি ! জলাধার পেড়িয়ে আরো একটু এগিয়ে যাই—ভোরের কুয়াশায় মরা গাছের ডাল গুলোতে বসে আছে— এক ঝাঁক ধবল বক—মাছের লোভে ! বসে আছে—অঁক পাখি ! দেখা মেলে ভোরের মানুষের !
ক্ষেতের আঁকাবাঁকা পথ ছেড়ে উঠে পরি সড়কটিতে —দেখি; একদল হাঁস, গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যায় ঐ পুকুরটির দিকে । বাঁশের সাঁকো পেড়িয়ে, বাড়ীর মুখে যেতেই — লাল ঝুটিওয়ালা মোরগটি ডেকে উঠে । ডেকে উঠে গৃহস্থের সেই কুকুরটি। মনে পরে যায়— আমাদের ছোট মেঘ এতোক্ষণে তার নতুন সঙ্গী— মুরগী, বিড়াল আর কুকুর ছানাদের সাথে ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছে । বাড়ী ফিরে দেখি—গাছি, এক হাড়ি রস রেখে গেছেন, সকালে মুড়ি আর খেজুরের রস আমার খুব পি্রয় খাবার । পরিবার সদস্যদের নিয়ে সকালের নাস্তা শেষ করে, আমাদের পূবর্ চকের দিকে যাবার ইচ্ছা রাখি— সেই ভ্রমনের কথা না হয় অন্য আরেক দিন বলা যাবে ।
আজকের এই লেখাটি—অনন্য কবি জীবনানন্দ দাশের একটি চরণ দিয়ে শেষ করতে চাই,
“যে জীবন ফড়িংয়ের, যে জীবন দোয়েলের, মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা”!
I love winter, I love walking in the winter morning; in my village, I remember my childhood such a amazing experience,to me winter is great season . . . Winter is the season when the whole world seems to go to sleep. The weather is cold,fog, the ground is hard, and the trees and plants seem to be dry and than turn a borun color finally all leafs dead and fall on the ground, some time a beautiful light ray fallen on the tress, morning waker walk in the winter morning . . . Here I try to captured a few images, in my resident Old Dhaka, where I lives with my beautiful family. I think is part of our daily lives, without a purpose in our lives, depression would quickly set in, hope to feel our mother nature, to me Winter Comes in a Way . . .
জীবনে বিজয়ী হয় তাঁরাই, যারা পড়াশোনায় আনন্দ মন নিয়ে লেগে থাকে । আত্মবিশ্বাস রাখ—তোমরা একদিন বিজয়ী হবেই ।
-ফাদার জেমস শ্যামল গমেজ পি.এস.সি.
ছবি: হাফিজুন নাহার বুবলী
ছবি: হাফিজুন নাহার বুবলী
শীতের সকাল—কিছুটা কুয়াশা আর রোদ ছড়িয়ে আছে— চারিদিকে । মেঘের আজ পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে—সে সকালে ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে আছে । আমাকে বলছে, বাবা আজ আমার পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে, আমাদের ক্লাস পাটির্ হবে । আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক মজা করব । আমি ঘুমের মধ্যে বললাম—ঠিক আছে, বাবা । মেঘ এবং তার মা সকালের নাস্তা সেরে স্কুলের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়ল । আমি বেড রুমের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম— বৈদ্যুতিক তারের উপর একটা বুলবুলি পাখি বসে আছে । এই শীতে আমাদের এখানে বেশ কিছু বুলবুলির দেখা মেলে । আমাদের মেঘটা বড় হয়ে উঠছে—এই জুলাইতে তার সাত বছর বয়স হলো।
ছোট মেঘ আর তার বন্ধুরা—তানভির,রাফাত,আনিলা,মরিয়ম তাদের ক্লাস পাটর্িতে মজা করেছে । তারা সবাই লোয়ার কেজি থেকে আপার ক্লাসে উত্তীর্ন হয়েছে । যদিও বেশ কিছু দিন মেঘ স্কুল করতে পারে নাই, সে অসুস্থ ছিল । মজার ব্যাপার হচ্ছে —এই পিচ্চিরা তাদের মায়েদের মোবাইল ফোন দিয়ে নিজেরাই সেলফি তুলেছে । মেঘ আর তার বন্ধুদের বিশেষ এই মুহুতর্ গুলো ধরে রেখেছে মেঘের মা— বুবলী । এই মুহুতর্ গুলো স্মৃতি আকারে ধরে রাখার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই । আগামী জানুয়ারী ২০১৬ থেকে শুরু হবে নতুন ক্লাস,নতুন বই পাশাপাশি নতুন নতুন বন্ধু ।স্মৃতিকে পেছনে ফেলে— জীবন এভাবে এগিয়ে যায় — সামনের দিকে । আমাদের লাজুক এই ছেলেটির জন্য সবার কাছে দোয়া চাই । মেঘটা—বড় হয়ে অনেক অনেক জ্ঞানী হয়ে উঠুক এই কামনা করি ।
মেঘেদের স্কুল থেকে বের হওয়া— সাফল্যর স্বপ্ন বার্ষিক কাযর্ক্রম ২০১৫ ম্যাগাজিনটি উল্টেপাল্টে দেখছিলাম । ফাদার জেমস শ্যামল গমেজ পি.এস.সি. তার শুভেচ্ছা বাণীতে খুব সুন্দর একটা কথা বলেছেন—জীবনে বিজয়ী হয় তাঁরাই, যারা পড়াশোনায় আনন্দ মন নিয়ে লেগে থাকে । আত্মবিশ্বাস রাখ—তোমরা একদিন বিজয়ী হবেই । কথাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো । সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়াস কিন্ডারগাটেন শিক্ষালয়ের সকলকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই এবং মঙ্গল কামনা করি ।