আজো পৃথিবীর পুরোনো পথেই সন্ধ্যা নামে;
সন্ধ্যা আলোরা ফিরে যেতে যেতে
—ওরা একবার মিলিত হয়েছিল
মায়া ছবি হবে বলে !
ডাইরি / পুরান ঢাকা, জুলাই ২০২২
© মনিরুল আলম

আজো পৃথিবীর পুরোনো পথেই সন্ধ্যা নামে;
সন্ধ্যা আলোরা ফিরে যেতে যেতে
—ওরা একবার মিলিত হয়েছিল
মায়া ছবি হবে বলে !
ডাইরি / পুরান ঢাকা, জুলাই ২০২২
© মনিরুল আলম
আলহামদুলিল্লাহ ( ٱلْحَمْدُ لِلَّٰهِ ) । সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর ।
আজ আমাদের ছোট মা ঢেউ এর জন্মদিন | শুভ জন্মদিন—প্রিয় ‘ঢেউ’ | শৈশবের সময়টাইতো দুরন্তপনার । তোর দুরন্তপনায় আমার সায় আছে । মা— তুমি এগিয়ে যাও, তোমার সাথে সবসময় তোমার বাবা-মা আছেন । তোমার দীর্ঘ জীবন হোক—আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা . . .
ডাইরি / ঢাকা
জুলাই, ২০২২ © মনিরুল আলম
সিলেট শহরের গল্প গুলো সব সময় আমাকে কাছে টানে। মূলত এর ভূ-প্রকৃতিগত এবং ঐতিহাসিক কারণে । আমি যতোবার এই শহরে আসি মুগ্ধ হই এর সুন্দরের প্রতি। ‘আহা, কী অসাধারন সেইসব সৌন্দর্য ! যদিও এবারের বন্যা পরিস্থিতি, ২০২২ সেই চিত্রটি বদলে দিয়েছে ।পুরো জেলাই সপ্তাহজুড়ে বন্যার পানিতে আক্রান্ত ছিল । এখন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হচ্ছে ।
এবারের বন্যা পরিস্থিতি, ২০২২ কাভার করার জন্য অল্প সময়ের জন্য এসেছিলাম এই জেলায় । জেলা শহর থেকে উপজেলা শহর সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করলাম । বন্যায় আক্রান্ত মানুষদের দুঃখ-কষ্ট বেড়েছ । তবে তারা সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন । আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের এই দূর্যোগ থেকে রক্ষা করেন।
২০২২ সালের মে মাসে আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদী, কুশিয়ারা নদী ও অনান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। তথ্য সূত্র : বাংলা ইউকিপিডিয়া
এই শহরের মানুষ গুলো খুব আন্তরিক। তাদের ভালোবাসার অসাধারন এক ক্ষমতা আছে, যা আমাকে মুগ্ধ করে । মানুষকে ভালোবাসতে শিখায় ।এবারও সেই ভালোবাসার এতোটুকু কমতি দেখিনি।যদিও সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে উঠেনি, পরিবেশ এবং পরিস্থিতির ভিন্নতার কারণে। হয়তো কোন এক সময় সুযোগ হলে আবার আসবো এই প্রিয় শহরে। সবার জন্য শুভ কামনা । গুডবাই সিলেট . . .
ডাইরি / সিলেট
জুন, ২০২২ © মনিরুল আলম
আমাদের ’মা’ দীর্ঘ প্রায় তিন বছর যাবত অসুস্থ। ২০১৯ সালে আগষ্ট মাসে মায়ের একটা অপারেশন হয় । তখন থেকেই তিনি, ধীরে ধীরে নানা শারিরীক এবং মানসিক জটিল রোগে ভুগছেন । আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা নিয়মিত তার চিকিৎসা, সেবা চালিয়ে যাচ্ছি ।
এই মে মাসে, ২০২২ প্রায় এক সপ্তাহ যাবত ‘মা’ খুব কম কথা বলছেন । বেশীর ভাগ সময় চোখ বন্ধ করে রাখেন । মা’কে ডাকলে খুব আস্তে আস্তে সারা দেন । হে আল্লাহ, আমাদের মা’কে সুস্থতা দান করুন ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে এই দোয়া করি, হে আল্লাহ— আমাদের মায়ের দুনিয়া ও আখেরাতের সকল হিসাব যেন সহজ করে দেন । আল্লাহ— তুমি মায়ের সকল গুনাহ মাফ করে দিও ।
আপনারা আমাদের মা’কে ক্ষমা করে দিবেন । সবার কাছে আমাদের মায়ের জন্য দোয়া চাই । মায়ের সুস্থতা এবং দীর্ঘজীবন প্রতাশা করি ।
ডাইরি / পুরান ঢাকা
মে, ২০২২
আমন ধানের চাল দিয়ে ভাত রান্না করলে, সেই ভাত খেতে অন্যরকম এক স্বাদ পাওয়া যায় । আগে আমাদের গ্রামের বাড়ী ‘হিজুলিয়া’ থেকে নিয়মিত সেই চাল আসতো। আমাদের ঢাকার বাসায়, সাথে আসতো খাঁটি সরিষার তেল, খেজুরের গুঁড় সহ—নানা সুস্বাদু খাবার !
এসব মূল্যবান খাবারের মর্ম ছোট বয়সে ঠিক বুঝে উঠতে শিখিনি। এখন এই বয়সে এসে, সেইসব খাবারের মর্ম উপলব্ধি করি । কিন্তু সময় পেরিয়ে গেছে ! ইচ্ছে করলেই সেই সময়কে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় ! যদিও শহুরে জীবনাচরণে বড় হয়ে উঠা এই আমি, আমাদের পরিবার । তথাপি, হিজুলিয়ার সেই ছোট্ট গ্রামের মায়া ত্যাগ করতে পারিনি । সেটা সম্ভব নয় —এই জীবনে । আমার বাবা, দাদা-দাদী পরম শান্তিতে এই হিজুলিয়ার মাটিতে দিয়েছেন—একঘুম । আমারও ইচ্ছা মৃত্যুর পর, এই হিজলের মাটিতেই দেবো দীর্ঘ ঘুম, পরম শান্তিতে—নিঃশব্দে !
ছোটবেলার সেইসব স্মৃতি মাঝে মাঝে মনের গহীনে এক বিশাল ছায়া ফেলে । ফিরে যাই আমার সেইসব সুখ-দুঃখ ভরা কৈশোরের জীবনে । হিজুলিয়ার সেই পুকুর ঘাট, মাছরাঙ্গা পাখির বসে থাকা, একা দাড়িয়ে থাকা হিজল গাছ, সেই সিঁদুরে আম গাছ । কিংবা ছোট খাল পেরিয়ে করবস্থানের পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে, দিগন্ত বিস্তৃত সরিষা ক্ষেতে হারিয়ে যাওয়া ! আহা, আমার সেইসব দুরন্তপনা ! সেইসব কৈশোর !
আমাদের মানিকগঞ্জে এখনো প্রচুর সরিষার চাষ হয় । ফুপাতো ভাই, মুকুলের আহবান থাকে, শীতকালে বাড়ী যাবার জন্য । খেজুরের রস, খেজুরের গুঁড় দিয়ে তৈরি পিঠা খাবার জন্য । শীতের সময় সরিষা ক্ষেত দেখতে খুব সুন্দর লাগে । চারিদিকে শুধু হলুদ আর হলুদের সমারোহ। আখ এবং খেজুরের গুঁড়ের জন্য এই এলাকা এখনো বিখ্যাত হয়ে আছে । আমন ধানের চাষ একসময় ব্যাপক হতো, এখন আর সেই আকারে চাষ হয় না ।
সকালে মায়ের হাতে মাখানো বাসি-ভাত ছিল আমার খাবারের তালিকায় পছন্দের একটি খাবার । সরিষার তেল, মরিচ, পিয়াজ, লবণ আর ধনিয়া পাতা দিয়ে মাখানো সেই ভাত খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।পেটপুরে সেই খাবার খেয়ে, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতাম ! ততোক্ষণে স্কুলে, কলেজে যাবার সময় হয়ে যেতো । আমার মায়েরও এই খাবারটা তার পছন্দের তালিকায় ছিল । বাবা অবশ্য ডিম ভাজা দিয়ে ভাত খেতে পছন্দ করতেন !
ঢাকা শহরে পার্ট-টাইম চাকুরি করে আইন বিষয়ে পড়াশোনা চালিয়ে, আইন পেশায় নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবি হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন— আমার বাবা । এখন উপলব্ধি করি সেই সময়ে শহুরে জীবনের সংসার চালাতে কিছুটা অর্থনৈতিক সমন্বয় করাটা কেন জরুরি ছিল !
এখন নানা কারণেই সেই আমনের চাল গ্রামের বাড়ি থেকে আসে না । যদিও মাঝে মধ্যে সরিষার তেলটা আনা হয়, সেটাও এখন অনিয়মিত ! আমাদের মায়ের দীর্ঘ অসুস্থতা, সামাজিক নানা কারণ-অকারণে জীবনের কিনারা ঘেঁষেই এই শহর কেন্দ্রিক জীবন চলে যাচ্ছে ।
সেদিন বুবলীকে বলেছিলাম, ধনিয়া পাতা, সরিষার তেল দিয়ে মাখা বাসি-ভাত খেতে খুব ইচ্ছে করছে ! বুবলী তার ছোট্ট পরিসরে সেই আয়োজন করেছিল, তাকে ধন্যবাদ ।
মায়ার এই সংসারে মেঘ-ঢেউ বড় হয়ে উঠছে, এই শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে তারা ! ওরা নিশ্চই একদিন ওদের হিজুলিয়া’কে চিনে নিবে . . .
ডাইরি / পুরান ঢাকা,
মার্চ, ২০২২ © মনিরুল আলম
শীতকাল বিদায় নিচ্ছে । মাঘের শেষ শীত যেন বেশ জাকিয়ে বসেছে গ্রামাঞ্চলে । ঢাকায় বসে তা খুব একটা অনুভব করা যায় না ! এবারের শীতে খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি ভাপা পিঠা খাওয়া হয়েছে । আমার ফুপাতো ভাই মুকুল গ্রামের বাড়ী থেকে ভাপা পিঠা এবং দুধ চিতই পিঠা নিয়ে এসেছিল । মজা করে খাওয়া হয়েছে । আগে এই পিঠা-পুলি এবং খেজুরের রস খেতে শীতকালে গ্রামের বাড়ী যাওয়া হতো বেশ কয়েকবার । তখন দাদা-দাদী, বড় ফুপু বেঁচে ছিলেন । এখন বছরে একবারও যাওয়া হয়ে উঠে না । তবে নাড়ির এই টান একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাইনি, আমার !
বেশ কিছুদিন হলো আমাদের ছাদ-বাগানে যাওয়া হয়ে উঠেনি । নিজের নানা ব্যস্ততার পাশাপাশি, শীতজনিত রোগে সারা মাস জুড়েই পরিবারের কেউ না কেউ ভুগেছে । মায়ের শরীরটা এই শীতে কিছুটা ভালো থাকলেও, শীতের শেষে এসে আবার খারাপ করতে শুরু করেছে । আমাদের মায়ের জন্য দোয়া চাই ।
ছাদ-বাগানের জন্য বেশ কিছু নতুন ফুল গাছ নিয়ে আসা হয়েছে । সেদিন বিকেলে নতুন লাগানো ফুল গাছ গুলো দেখার পাশাপাশি পুরোনো এই পাথরকুচি ( ঔষধি উদ্ভিদ ) গাছে ফুটে থাকা ফুলগুলো দেখছিলাম খুব সুন্দর লাগছিল । বিকেলের আলোয় ফুলগুলো অসাধারন লাগছিল । পেশা এবং নেশা এক হলে যা হয় । সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ধারণ করলাম । ( ভিডিওটি পোষ্টে যোগ করে দিয়েছি )
আজকের দিনটি পহেলা ফাল্গুন । পালিত হচ্ছে বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস এবং সুন্দরবন দিবস, সবাইকে দিবস গুলোর শুভেচ্ছা জানাই । পাশাপাশি সবাই সুস্থ থাকি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করি । সবার জন্য শুভ কামনা . . .
ডাইরি / ঢাকা, বাংলাদেশ
ফেব্রুয়ারি, ২০২২
© মনিরুল আলম
Witness My Time is my photographic journey as a photojournalist, Many times I coverage news and feature assignments and would like to shear it’s behind news stories . . .
আজকের Podcast’টি ‘ঘাস ফুল’ নিয়ে । ছবি তোলার গল্প, অনুভুতি এসব নিয়ে এক টুকরো কথা। আমার চলার পথে নিত্যসঙ্গী মোবাইলফোনটি দিয়ে নানা সময়ে, নানা বিষয়ের ছবি তুলি ।
আজকাল আধুনিক মোবাইলসেট গুলোতে খুব সুন্দর এবং ভালো মানের ছবি তোলা সম্ভব ।
Witness My Time is my photographic journey as a photojournalist, Many times I coverage news and feature assignments and would like to share it’s behind news . . .
ছোট এই শহরটির এখানে বসলেই নদীটি দেখা যায়;আমরা রোজ এখানে বসে নদী দেখি, আহা— কতো কতো ঢেউ বয়ে চলে, তার বুকের প’রে; পৃথিবী কী মনে রাখে— সব !
তুমি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললে, নক্ষত্রেরাও আমাদের সাথে নদী দেখে—রোজ রাতে ; আমি নদীর ঢেউ দেখে দেখে বললাম—এই নদী অনন্ত কালের ; তার স্রোতের গল্প গুলো আবহমান কালের—উপকথা !
তুমি আর আমি—যখন একদিন থাকবো না; যখন আমরা একদিন ঐ নীলাকাশের নক্ষত্র হবো; সেদিনও এই নদী কালের স্রোতে জেগে থাকবে—নিশ্চল ! তুমি আর একবার তাকালে নদীর দিকে, তোমার চোখে তখন নদীর—ছায়া !
আমাদের পাশেই কোন এক বৃক্ষ শাখার ডালে বসে, এক লক্ষীপেঁচা ডেকে উঠল, তারপর আরো একটা; আমরা তখন সন্ধ্যা তাঁরার আলোয়, নদীটিকে পেছনে ফেলে ফেলে ঘরে ফিরছি; আমাদের রক্তে তখন—শীতল নিরবতা . . .
সেপ্টেম্বর , ২০২১
■ ডাইরি / পদ্মানদী, মুন্সীগঞ্জ