Chobi Mela the International Festival of Photography BANGLADESH 2017 held in Asia, Chobi Mela IX begins on the month of February 2017 with many events like workshop, photography exhibition, portfolio reviews, seminar and artist talk’s . National and International Photographer’s eagerly waits for this event which is being held every two years in Bangladesh in the capital of Dhaka.The key organisers are Drik Picture Library Ltd. and Pathshala South Asian Media Institute.
In the photography and art works hailing from 16 countries — Algeria, Germany, India, Japan, Netherlands, Sweden, Thailand, USA amongst others Chobi Mela is an international festival of photography held in this year.
Festival derictor Shahidul Alam, said to the media, “The global photography spotlight is on Bangladesh. The stars are arriving at our doorstep. It is now up the podium. The world of photography beckons”.
I am as a Pathshala fellow photographer, teacher and visual artist to join in this beautiful event and to visit an interesting exhibitions all vanues and participate artist’s talk during the Chobi Mela festival and captured a few moments which I never ignored. Love Chobi Mela and hope to join the next event which will be held in 2020. Thanks Chobi Mela team and the organizer. Such a beautiful event held in my country Bangladesh.
The object of my work is to report the real moment of life. I recorded many times as an eyewitness. My main interest lies in documentary storytelling focusing on global issues . . .
Bangladesh based artist, photojournalist and documentary filmmaker currently works documenting social issue. His photographs have been widely published national and international media around the world. He lives in Dhaka with his beautiful family. He loves photography & teaching with creative way . . .
Photo: Monirul Alam Book Cover Photo: Shahidul Alam
I remember when I met you in the house of terror
Of what you gave me and surrender to me.
In those moment in which the light was a dream or a miracle.
However, you were the light among the darkness.
We were as one in our misfortune.
Today,after thousands of misfortunes more.
I can see you, as I did then, always looking forward.
We will see each other again through the fog that we will disperse.
Do not forget comrade.
[ Muriel Dockendorff Navarrete ] Chilean Poet,Lyricist and economics student
Notes: Currently I read the book ‘Tortured Truths’ by Rahnuma Ahmed. Love to read this book and I think it’s a great collection to me.Book cover photo: Shahidul Alam
আমাদের ছাঁদে একটা বেঞ্চ আছে । যেখানে বসে থাকা যায় আবার লম্বা হয়ে শুয়ে থাকা যায় । আমি মাঝে মাঝে রাতে— ছাঁদে হাটতে গেলে সেই বেঞ্চটিতে চিত হয়ে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি । অন্ধকার আকাশ দেখি—জেগে থাকা চাঁদ,তারা দেখি ! কতো দিন মনে করেছি—মহাকাশ বিষয়ক কিছু বই পত্র কিনে পড়াশোনা করবো। আকাশ সম্পকে কিছু জানাশোনা হবে । কিন্তু নানা কারণে তা আর হয়ে উঠেনি । হয়তো কোন একদিন হয়ে উঠবে ।
আজ ১৪ নভেম্বর ২০১৬ সাল । মেঘকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে—ধানমন্ডিতে । আ্যপয়েন্টমেন্ট করা আছে, রাত আটটায় ওর সিরিয়াল—পাঁচ । শীতের সময় মেঘের ঠান্ডা এবং এ্যালার্জিটা বেড়ে যায়, তাই এই সময়টা তাকে বেশ সর্তকে রাখতে হয় । কিন্তু কে শোনে কার কথা—সারাক্ষণ দুষ্টমি আর খেলে বেড়ানো !
আজ রাতের আকাশটা অন্য রকম হবে ! বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে যতোটুকু জানা গেল আজকের চাঁদটা অনেক অনেক বেশী উজ্জল এবং বড় দেখাবে সাধারনের তুলনায় । যাকে সুপারমুন বলা হয় । চাঁদের এ রকম উজ্জ্বলতম রূপ শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯৪৮ সালে। আবার দেখা যাবে ১৮ বছর পর, ২০৩৪ সালের ২৫ নভেম্বর নাসার তথ্য তাই বলছে । পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের যে কক্ষপথ রয়েছে তার আকৃতি ডিম্বাকার হওয়ায় কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করার সময় চাঁদ কখনো পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, আবার কখনো অনেক দূরে চলে যায়। চাঁদ যখনই পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, তখন তা পৃথিবী থেকে খুব উজ্জ্বল দেখায়।
মনে মনে একটা হিসাব করলাম । মেঘকে ডাক্তার দেখিয়ে ফিরতে ফিরতে রাত দশটা হবে তাই সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ উঠাটা আমাকে মিস করতে হবে,তাই রাতের আকাশে চাঁদের আলোটাই আমাকে উপভোগ করতে হবে । যদিও সন্ধ্যাটা ছিল সুপারমুন দেখার উপযুক্ত সময় ! যাই হোক, ব্যস্ত জীবনে অনেক সময় অনেক কিছু করা হয়ে উঠে না । এটা সত্য আর এই সত্যটা—আমি মানি ।
মজার ব্যাপার হলো, আমি যদি সন্ধ্যার সুপারমুনটি দেখতাম তাহলে রাত এগারোটার পর সেই সুপারমুনটি হয়তো আর দেখতে চাইতাম না । আর আমার জন্য এক চমক এবং বিস্ময় এখানে অপেক্ষা করছিল ! রাতের খাওয়া-দেওয়া শেষ করে ছাঁদে চলে গেলাম । হ্যাঁ প্রতিদিনের চেয়ে আজ রাতের চাঁদের আলো অন্যরকম লাগছিল, অনেক বেশী উজ্জল তবে বড় ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না, তবে অনুভূতিটা অন্য রকম ছিল ।
বেঞ্চটিতে লম্বা হয়ে শুয়ে শুয়ে চাঁদ দেখছি । হঠাৎ খেয়াল করলাম চাঁদের বেশ কিছু দূরে—আকাশের পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে একটা লম্বা আলোর রেখা ! আমি মনে করলাম কেউ হয়তো টর্চ দিয়ে আলো ফেলছে । কিন্তু না সেই আলোর লম্ভটা চাঁদের দিকে এগিয়ে আসছে ! ব্যাপারটা আমার কাছে অদ্ভুত লাগলো, আমি সর্তক হলাম কিন্তু ততোক্ষণে যা ঘটার তা ঘটে চলছে ! আমি আমার সঙ্গে থাকা মোবাইল দিয়ে ছবি তুলছি পাশাপাশি বুবলীকে ফোন দিচ্ছি যেন মেঘকে নিয়ে দ্রুত ছাঁদে আসে, ঘটে যাওয়া সেই ঘটনাটি দেখে ! কিন্তু ওরা আসতে আসতে বিষয়টি শেষ হয়ে গেল । ওরা শুধু আলোর রেখাটি দেখতে পেল—দূর থেকে । ঘটনাটি ছিল মাত্র কয়েক মুহুর্ত ! আসলে কি ঘটেছিল ?
আমি যতোটুকু বুঝতে পারি, পরিষ্কার আকাশে এক টুকরো লম্বা মেঘ ( সাদা/কালো ) চাঁদকে অতিক্রম করছিল অর্থাৎ যখন চাঁদ আর ঐ মেঘে মুখোমুখি হলো তখন সৃষ্টি হলো সেই ভয়াবহ আলোর সৌন্দর্য ! অদ্ভুত রহস্যময় —এক আলো ! কি রকম এক অদ্ভুত আলো ছড়িয়ে পড়েছিল আমার চারপাশে । আর আমার মনের ভিতর অজানা এক ভয় দানা বেঁধেছিল ! পরর্বতীতে মোবাইলে তোলা ছবি গুলো বারবার দেখছিলাম যদিও সেখানে পুরো ব্যাপারটা বোঝা গেল না তবে সেই মুহুর্তটা ধরা থাকলো ।
আসলে সেই সময়টা কি ঘটেছিল ? বিজ্ঞান কি বলে ? জ্যোতির্বিদরা এর কি ব্যাখ্যা দিবেন ? কেন শুধু মাত্র ঐ সময়ে ঐ রকম অদ্ভুত আলো ছড়িয়ে পড়ল । যা এক ধরণের ভয়ের অনুভূতি তৈরি করেছিল আমার মনে ! আহা—রহস্য ঘেরা এই মহাজগত ! কতো কিছুই না ঘটে চলছে . . .
১. ছবি তোলার সময় : ১১.১৩ মিনিট ( মোবাইল ফোনে তোলা )
২. ছবি তোলার সময় : ১১.২১ মিনিট ( ডিএসএলআরে তোলা )
আর ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ সম্পর্কে যতোটুকু জানা গেল, এই নামটি এসেছে মিয়ানমার থেকে। স্থানীয় ভাষায় যার অর্থ কুমির ! নগরবাসী এই কায়ান্টের প্রভাবে সৃষ্ট ঝিরিঝির বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে আরো দুই দিন . . .
গাইবান্দা শহরে এসেও দেখা হলো না শহুরে নদী—ঘাঘট’কে ! ইচ্ছা ছিল ঘাঘটের জলে সূর্য্যস্ত দেখবো। দেখবো—নদী পাড়ে মানুষের জীবন বৈচিত্র ! বাস থেকে নেমে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি । একজন রিকশা চালক আমার দিকে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, কোনটে যাবে বাহে ? আমি রিকশা চালকের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলাম—তিন গাছ তলা, কলেজ রোড, রাধাকৃষ্ণপুর । হামাক রিকশাত চল ! আমি রিকশাতে উঠে পড়লাম। রিকশা চালক মকবুলের সাথে কথা বলতে বলতে এগিয়ে যাই, কলেজ রোডের দিকে।
তিন মেয়ে আর এক ছেলের জনক, মকবুল পুরো পরিবার নিয়ে এই শহরেই থাকেন । রিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করেন । ব্যাটারি চালিত রিকশার জমা ১৫০ টাকা । জমা বাদ দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়, কখনো আরো কম,তবু সংসার চলে যায়—চালিয়ে নিতে হয় ! দশম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বাকি দুই জন স্কুলে পড়ে । কথা প্রসঙ্গ জানা গেল, তার তিন মেয়ের পড়াশোনার মাথা ভালো, অভাবের কারণে বড় মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।
শহরের এই প্রান্তে বর্ষা মৌসুমে বন্যা না হলেও, পূর্বপাড়ে শহরকে প্রতি বছর ডুবিয়ে দেয়—বন্যার পানি ! আর তখন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরে— কষ্ট বারে, জানালেন মকবুল। সংগ্রামী মানুষগুলো প্রকৃতির নিয়মে তা আবার সামলে উঠেন—জীবন চলে যায় !
তিন গাছ তলা—নামটা শোনার পর থেকে জায়গাটা, কেন তিন গাছ তলা নাম রাখা হলো, তা জানার আগ্রহ বেড়ে গেল ! যদিও আমার গন্তব্য এই ‘তিন গাছ তলা’ রিকশা চালক মকবুল ভাইকে আমার আগ্রহের কথা বলি—সে আমাকে জানান দেন, এই এলাকায় আগে তিনটা বট গাছ ছিল । এক সাথে জড়াজোড়ি করে ওরা থাকতো । ঐ বটগাছ তলায় মানুষের নানা— মিলন মেলা হতো । যদিও সেই বট গাছের দুটি গাছ, এখন আর আর নাই ! তবে নানা প্রতিকুলতা সহ্য করে এখনো টিকে আছে, ওদের একটি । ঐ গাছ গুলোর অবস্থানের কারণে এলাকাটির নাম হয়ে গেছে—তিন গাছ তলা । আমি তার কথা শুনে বললাম, বাহ ! বেশ মজার ইতিহাস । কিন্তু দুটো গাছ কেন কাটা হলো ? এর উত্তর মকবুল ভাই, দিতে পারলেন না ।
তিন গাছ তলা—গাছের নিচ দিয়ে আমাদের রিকশা যেতে যেতে,বেশ কিছু দোকান আমার চোখে পড়ল, সেইসব দোকান গুলোতে বসে লোকজন আড্ডা দিচ্ছেন, চা খাচ্ছেন, টেলিভিশন দেখছেন । তাদের মাথার উপর বেঁচে থাকা, সেই তিন গাছের—একটি গাছ দাঁড়িয়ে ! আমি তাকে দেখলাম, মনে মনে অভিবাদন জানালাম । খুব ভালো লাগলো এই জায়গাটা । অনেকটাই—নির্জন চারিদিকে সবুজ আর সবুজ ! আরো একটু সামনে যেতেই চোখে পড়ল, একটা পূজা মন্ডপ। লোকজন বসে আছে, ঢাক বাজানো হচ্ছে—শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপুজা । মকবুল ভাইকে, বিদায় জানিয়ে আমি, আমার গন্তব্যে ছুটলাম ।
গাইবান্ধা নামকরণ ঠিক কবে নাগাদ হয়েছে তার সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে একটা মজার কিংবদন্তী রয়েছে এই নামকরণে ! নানা তথ্য থেকে এবং এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়—আজ থেকে প্রায় ৫২০০ বছর আগে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় —বিরাট রাজার রাজধানী ছিল। বিরাট রাজার প্রায় ৬০ (ষাট) হাজার গাভী ছিল। মাঝে মাঝে ডাকাতরা এসে বিরাট রাজার গাভী লুণ্ঠন করে নিয়ে যেতো। সেজন্য বিরাট রাজা একটি বিশাল পতিত প্রান্তরে—গো-শালা স্থাপন করেন। গো-শালাটি ছিল সুরক্ষিত এবং গাভীর খাদ্য ও পানির সংস্থান নিশ্চিত করতে তা নদী তীরবর্তী ঘেসো জমিতে স্থাপন করা হয়। সেই নির্দিষ্ট স্থানে গাভীগুলোকে বেঁধে রাখা হতো। প্রচলিত কিংবদন্তী অনুসারে এই গাভী বেঁধে রাখার স্থান থেকে এতদঞ্চলের কথ্য ভাষা অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে—গাইবাঁধা এবং কালক্রমে তা গাইবান্ধা নামে পরিচিতি লাভ করে।
কাজ শেষ করে গাইবান্দা থেকে ঢাকায় ফিরলাম । আমাদের ক্ষুদে শিল্পী—আদিবা’কে বলালম, তুমি আমাকে, ‘তিন গাছ তলা’ একটা ছবি একে দাও তো ! যেখানে তিনটা বট গাছ থাকবে, একটা সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ । সে পুরো ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে,তার মতো করে একটা স্কেচ করে দিল—আমাকে। আদিবার আঁকা এই স্কেচটি এখানে ব্যবহার করলাম ।
ঘাঘট—নদীর জলে সূর্য্যস্ত দেখতে যেতে হলেও, একবার যেতে চাই সেখানে । যেমনটা সাদা পাহাড়ের দেশ, বিরিশিরির গিয়েছিলাম, সেখানে সোমেশ্বরী নদীতে দেখেছিলাম— সূর্য্যস্ত আর সেইসব মানুষের দৈনন্দিন জীবন . . .