The story of photographing with a cup of tea that afternoon, I had finished my tea, while the afternoon is gone away but the memories still remaining . . .
Diary / Dhaka, Bangladesh
August,2022 © Monirul Alam





The story of photographing with a cup of tea that afternoon, I had finished my tea, while the afternoon is gone away but the memories still remaining . . .
Diary / Dhaka, Bangladesh
August,2022 © Monirul Alam
Women in Dhaka, Bangladesh gather outside on March 8, 2017, to mark International Women’s Day. At the worldwide demonstrations, many women focused their protesting on an end to wage gaps and the legalization of abortion. This region focused on demanding an end to child marriage. This year the theme of International Women’s Day is ” be bold for change” .
Note: Need HD quality please contact witnessphoto@gmail.com
গত রাতে ঝড়ো বৃষ্টি হয়েছে । সেই সাথে মেঘের গর্জন আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকানো—কালবৈশাখী ! মেঘ বলল, বাবা আমার স্কুলে আগামীকাল বাষির্ক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আছে, সকালে কি বৃষ্টি থাকবে ? আমি বললাম জানি না বাবা, দেখা যাক কি হয়, তুমি এখন ঘুমাও। সে একটু পরে আবার বলে, বাবা— আমিতো যেমন খুশি তেমন সাজোতে, নাম দিয়ে এসেছি—আমি গাছ সাজবো ! আমি বললাম বাবা ঠিক আছে । তুমি এখন ঘুমাও ।
বৃষ্টি ভেজা সকাল—খুব চমৎকার রোদ চারপাশে ! দেখেই মনটা আনন্দে ভরে উঠল ! মেঘ বেচারা খুব টেনশন করছিল, সে সকালে স্কুলে যেতে পারবে কিনা ? সকালে যদি বৃষ্টি হয় ! সকালের নাস্তা শেষ করে আমরা তিন জন রিকশাতে রওনা করলাম সঙ্গে মেঘের—গাছ বন্ধু ! মা-বেটা মিলে খুব সুন্দর করে এই গাছ বানিয়েছে, কাগজ কেটে কেটে—তাতে রঙ করা হয়েছে । মেঘের সেকি আনন্দ ! আজ সে তার স্কুলে— গাছ বন্ধু হয়ে ঘুরে বেড়াবে, তার অন্য সব বন্ধুদের সাথে । তার ফুপিকে বলছে সে গাছ সাজবে তার স্কুলে ।
সেন্ট টমাস মিশন প্রাইমারী স্কুলটিতে প্রবেশ করতেই, মনটা ভরে গেল অন্য রকম—এক আনন্দে ! সকালের মিষ্টি রোদে ভরে আছে মাঠ । চারপাশের গাছ গুলো—বৃষ্টি ভেজা ! আর মূল চার্চটি যেন—খুব নির্বাক ! সেই কতোদিন—কতোদিন দিন তার বুকে ঘড়ি এটে দাড়িয়ে আছে নিরবে । এখানকার মানুষ এখনো—সেই ঘড়ি দেখে পথ চলে ! সময় সময় ঘন্টা বাজিয়ে সময়ের জানান দেয়—সেই চার্চের দেয়াল ঘড়ি ।
ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে— পরনে তাদের স্কুল ড্রেস হাতে লাল ফিতে বাঁধা । আমার কাছে খুব ভালো লাগলো, লাউড স্পিকারে— একটার পর একটা রবীন্দ্র সংঙ্গীত বাজছিল । আমার হিয়ার মাঝে / আমার পরানো যাহা চায় / আমি মুগ্ধ হয়ে সেই গানগুলো শুনছিলাম ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উপস্থিত অতিথিদের অব্যর্থনা জানিয়ে একটু পর ঘোষণা দিলেন—তাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার । উপস্থিত অতিথীরা ক্ষুদে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে সুন্দর সুন্দর কথা বললেন।
শুরু হলো—বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান । বিভিন্ন শ্রেনীর ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের একটা জায়গায় বসানো হয়েছে । সেখান থেকে ক্লাস অনুযায়ী ডাকা হচ্ছে, খেলা গুলোতে অংশ গ্রহনের জন্য । প্রতিযোগিতা গুলো ছিল বেশ মজার । যেমন— জুতা-মোজা দৌড়,আলু তুলে দৌড় , অংক দৌড় ,মটরসুটি দৌড়,ভারসাম্য দৌড়। ব্যাঙ লাফ, হাঁস হাঁটা, চকলেট দৌড় সহ নানা আয়োজন ।
আমরা অভিভাবকরা ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এই সব খেলা দেখে—খুব মজা পেলাম । এরই মধ্য ছোট ছোট এই মানুষ গুলো যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা অংশ নিয়ে সারা মাঠ ঘুরতে লাগলো । কেউ সেজেছে — বঙ্গবন্ধু , কেউ কৃষক, কেউ মুক্তিযাদ্ধা, কেউ কমান্ডার,আবার কাউকে দেখা গেল ডাক্তার সেজে ঘুরে বেড়াতে; কেউ সেজেছে কৃষ্ণ কিন্তু রাধা’কে দেখা গেল না, আবার কেউ শিক্ষিকা সেজেছে, কেউ বা উকিল । মেঘ তার গাছ নিয়ে গাছ বন্ধু হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে—মনের আনন্দে ।
একটু পরে শিক্ষার্থীদের টিফিন দেয়া হলো । এর পর পর অভিভাবক এবং শিক্ষকদের জন্য একটা প্রতিযোগিতা ছিল । সেটাও খুব মজা হলো । প্রতিযোগিতার শেষ পর্ব ছিল পুরষ্কার বিতরণ ।
এবার মাইকে ঘোষণা এলো — ব্যাঙ লাফে প্রথম পুরষ্কার পেয়েছেন, নিরব মিয়া ! আমি ছোট নিরব মিয়াকে দেখার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠলাম ! এরই মধ্য মাইকে ঘোষণা এলো মেঘের নাম— সে যেমন খুশি তেমন সাজোতে—প্রথম পুরষ্কার পেয়েছে !
বেটা’তো আমার মহা খুশি, সে প্রথম পুরষ্কার পেয়েছে ! আমি মেঘ’কে জড়িয়ে ধরে আদর করলাম । আমি মেঘ’কে বললাম, তোমার স্কুল’তো আমাকেও একটা পুরষ্কার দিয়ে দিল । মেঘ বলল, আমি দেখেছি—তুমি বেলুন ফুটানো’তে ২য় হয়েছ । এবার আমাদের বিদায়ের পালা, স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ীর পথে রিকশা নিলাম, সঙ্গে দুটি পুরষ্কার আর গাছ বন্ধু . . .
সেন্ট টমাস স্কুল, পুরান ঢাকা
০৬ মার্চ,২০১৭ © Monirul Alam