Today’s 16 December , 2016 my dear younger brother SHUVO is now married person.We pray both of you Shuvo & Arpeeta and thank you so much for your beautiful moments sharing with us.
You know the together you are stronger, together you are one.Our wishes with pray, love & happiness.Have a wonderful married life! Megh,Bubli & your Choto Bhaiya.
ওদের সংসারটা ফুটপাতে ! প্রায় প্রতিদিন নিয়ম করে— ওদের মা’ এই ফুটপাতে রেখে যান ! তারপর—শুরু হয় মানুষের কাছে থেকে কিছু সাহায্য পাওয়ার— অপেক্ষা ! দিনমান এই ফুটপাত যেন— ওদের আপন ঠিকানা, ঘর-সংসার ! এখানেই পরিচয়— বেওয়ারিশ একটি কুকুরের সাথে । ওরা কুকুরটিকে ‘টাইগার’ নামে ডাকে । প্রিয়া—প্রতিবন্ধী, কথা বলতে পারে না, সারাক্ষণ হুইল চেয়ারে বসে থাকে। তার গলায় একটা সাহাযে্যর আবেদন ঝুলতে থাকে ! খুব সুন্দর করে হাসতে পারে— ছোট এই মেয়েটি । হুইল চেয়ারে বসেই কুকুরটিকে আদর করে সে । আমি— এই সব কথা গুলো যার কাছে থেকে জানলাম তার নাম—পূজা । ন্যাড়া মাথার ছোট পূজা, ফুটপাতের উপর একটা কাঁথা বিছিয়ে—সেখানেই শুয়ে পরে—তারপর আকাশের ঠিকানায় তাকিয়ে থাকে ! সেদিন— ওদের ফুটপাতের সংসারটা দেখে এলাম । আহা—ফুটপাতের জীবন . . .
Bangladeshi young people celebrate a Paush Shankranti in their roof top at old part of Dhaka, Every year on 14 January people celebrate it with joy of happiness.The Paush Shankranti is the last day of Bengali month Paush. The day is also known as ‘Makar Sangkranti’ it’s celebrate like India, Nepal and Bangladesh. In Bangladesh, young people of the old Dhaka celebrate Shakhrine with colorful kite flying during the day and than fire eating or blowing performances after dark with fireworks,music cracker works. also arranged.
The kite fighting gets all the more serious in the afternoon. Even the oldest members of the family join the youth. Meanwhile, different kinds of rice cakes, deserts and confections are made for the occasion. The festival is basically an event of joy, happiness and friendship. The scenes of Shakrain demonstrate the canvas of brotherhood and cheerfulness of old Dhaka dwellers.
Hijulia, Manikgonj, Bangladesh, December, 2015— A villager flocks of his goats for feeding in the winter morning at the village of Hijulia. This week our family member visit in our beautiful village and enjoy the winter season. A winter morning is misty and cold. There is dense fog everywhere. Sometimes the fog is so dense that the sun rays cannot seen. People in general and children get up late in a winter morning we enjoy delicious and sweet baker. Payer of date juice and many other things.
১. রাত থেকেই শিশির পড়ছে— টিনের চালের উপর শিশির পড়ার সেই শব্দটা খুব ভালো লাগছে । মাঝে মাঝে বাদুরের ডানা ঝাপটানোর শব্দটা—অনেকটা ভয় জাগানিয়া ! অনেক দিন পর আবার ফিরে এলাম আমাদের—হিজুলিয়া গ্রামে। আমার ফুপাতো ভাই, মুকুলের সাথে দেখা হলো, সে চেয়ারম্যান নিবর্াচন করবে । তাই নিয়ে বেশ ব্যস্ত দিন কাটছে তার। গ্রামের অন্যান্য স্বজনদের সাথে দেখা হলো—কথা হলো ।
ভোর রাতে আড়ত থেকে মাছ নিয়ে আসার পরিকল্পনা বাতিল করলাম। আমাদের গ্রামের বাড়ীটি দেখা-শোনার দায়িত্ব পালন করেন—খলিল ভাই, তাকে আড়ত থেকে মাছ আনার দায়িত্ব দিলাম । এখানে অনেক অনেক মাছ পাওয়া যায়—বোয়াল, শৈল, কৈ আর ছোট মাছ এ গুলো এখানকার ডাঙ্গার, তাজা মাছ । মুকুলকে বলে দিলাম— ভোরে এক হাড়ি খেজুরের রস পাঠিয়ে দিতে । অনেক দিন খেজুরের রস খাওয়া হয় না—সেই সাথে খাওয়া হয় না, খেজুরের রস দিয়ে তৈরি —পায়েস আর নানা পিঠা-পুলি ।
ভোরের কুয়াশায় অনেক অনেক দিন হাঁটি না— একা একা এই খানে । ঝরা পাতা,সরিষা ফুল আর নাম না জানা গাছের পাতার উপর শিশির বিন্দু—দেখা হয় না কতো দিন ! গ্রাম-বাংলার এই প্রকৃতির মধ্য লুকিয়ে আছে সেই সব রুপ-রহস্যে ! যা আমার কাছে অমতর্ —নিত্য দিনের । অথচ তা কতোদিন —দেখা হয়ে উঠে না আমার; এই যাপিত জীবনে ! এই বিপন্নতার দায় মেটাতে— বার বার ফিরে ফিরে আসি এই খানে— এই জীবনের কাছে। এই নির্জন ভূগোলে ! যেখানে আমার অতীত বারবার কথা কয়ে উঠে !
সরিষা ক্ষেতের আল ধরে—কবরস্থানের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে যাওয়া যায় । নির্জন এই প্রান্তটি আমার কাছে সব সময়—এক বিস্ময় ! আজ ২৫, বছর হলো— বাবা, এখানে চির নিন্দ্রায় ঘুমিয়ে, আছেন দাদা-দাদী, বড় ফুপু আর কত শত স্বজনেরা —তারা এখানে দিয়েছেন দীঘর্ ঘুম। মাঝে মাঝে আমার কাছে মনে হয়—হয়তোবা তাদের স্বানিধ্য পাবার আশায় বার বার ঘুরে-ফিরে; ফিরে আসি এই খানে— যেখানে সরিষা ফুলের হিম গন্ধ পাই—আমার নি:শ্বাসে ।
যতো দূর চোখ যায়; শুধু হলুদ সরিষার আঁকাবাঁকা রেখা । ঘন কুয়াশার মাঝে দেখতে পাই —ভোরের লাল সূযর্ উকি দিচ্ছে এই নির্জনে— নি:শব্দে পথ হাটতে থাকি, ধুসর কুয়াশায় হঠাৎ একটা কুকুরের দেখা পাই— আঁকাবাঁকা শুকিয়ে যাওয়া খালটির নালায় তার পিপাসা মেটায় । কবরস্থান পেছনে ফেলে হাঁটতে হাঁটতে দেখা হয়ে যায়— হিজল গাছটির ডালে বসে আছে—ভোরের দোয়েল ! নাম না জানা সেই হলুদ পাখি ! জলাধার পেড়িয়ে আরো একটু এগিয়ে যাই—ভোরের কুয়াশায় মরা গাছের ডাল গুলোতে বসে আছে— এক ঝাঁক ধবল বক—মাছের লোভে ! বসে আছে—অঁক পাখি ! দেখা মেলে ভোরের মানুষের !
ক্ষেতের আঁকাবাঁকা পথ ছেড়ে উঠে পরি সড়কটিতে —দেখি; একদল হাঁস, গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যায় ঐ পুকুরটির দিকে । বাঁশের সাঁকো পেড়িয়ে, বাড়ীর মুখে যেতেই — লাল ঝুটিওয়ালা মোরগটি ডেকে উঠে । ডেকে উঠে গৃহস্থের সেই কুকুরটি। মনে পরে যায়— আমাদের ছোট মেঘ এতোক্ষণে তার নতুন সঙ্গী— মুরগী, বিড়াল আর কুকুর ছানাদের সাথে ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছে । বাড়ী ফিরে দেখি—গাছি, এক হাড়ি রস রেখে গেছেন, সকালে মুড়ি আর খেজুরের রস আমার খুব পি্রয় খাবার । পরিবার সদস্যদের নিয়ে সকালের নাস্তা শেষ করে, আমাদের পূবর্ চকের দিকে যাবার ইচ্ছা রাখি— সেই ভ্রমনের কথা না হয় অন্য আরেক দিন বলা যাবে ।
আজকের এই লেখাটি—অনন্য কবি জীবনানন্দ দাশের একটি চরণ দিয়ে শেষ করতে চাই,
“যে জীবন ফড়িংয়ের, যে জীবন দোয়েলের, মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা”!