যাপিত জীবন . . . 

 

১. সকালটা ছিল মেঘলা । সেই সাথে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে । হাসপাতালের যেতে হবে, ডাক্তার দেখাব । প্রচন্ড ব্যাক পেইন,ডান পাশটায় অনেক বেশী  । রাতে ব্যথার জন্য ঠিক মতো ঘুম হয় না । ডায়বেটিসটা অনেক বেড়েছে সুগার লেভেল ২৪.৫ ! অবশ্য এই বেড়েছে যাওয়ার অন্যতম কারণ— একদম অনিয়ম ! ইনসুলিন শেষ হয়ে যাওয়া, আইসক্রীম খাওয়া, সুগার লেভেল চেক না করা । এটা উচিত না— আমি বুঝি, কিন্তু কখনো কখনো এটা ঘটে যায় । নিজের মধ্য থেকেও কোথায় যেন, এই আমি—হারিয়ে যাই । কী  বিচিত্র আমার এই  জীবনধারা !  আবার মাঝে মাঝে মনে হয়, এই এতো নিয়ম মেনে কী হয় !  দিই না একটু  নিয়মটাকে ভেঙ্গে ! 
 
হাসপাতালের করিডোরে বসে আছি । আমার সিরিয়াল নম্বর সাত । ডাক্তার ফেরদৌস তালুকদার রিপন, সে অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ।  সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিউটের হাসপাতাল ।  তাকে দেখাব তার ভিজিডির চাজর্ ২৫০ টাকা । আমার আসে-পাশে আরো বেশ কয়েক জনকে রোগী বসে আছেন, কেউ কেউ খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, ডাক্তার সাহেব এসেছেন কিনা, রোগী দেখা শুরু করেছেন কিনা । 
 
বসে বসে ফেসবুকে একটা  স্টাটাস লিখছি; এর মধ্য আমার পাশে একজন এসে বসলেন ! আমি এক নজর তাকে দেখে আবার লিখতে শুরু করলাম । লেখাটা শেষ করে তার দিতে পাশ ফিরতেই দেখলাম, তার ডান হাতটা উঁচু হয়ে আছে ! ভালো করে তাকাতেই দেখলাম— হাতটা অনেক ফুলে গেছে, কনিষ্ঠ আঙ্গুলটাতে ব্যান্ডেজ করা । আমি একজন সাংবাদিক
সেই কৌতুহল থেকেই জানতে ইচ্ছে হয় ঘটনাটি কি, কি ভাবে ঘটল ?
 
 চলবে . . .