I love to ride motorbikes specifically on the high way ! I have been riding in this motorbike since 2010. Which I was received from my former daily newspaper office of Prothom Alo. It has still giving a good service with good a condition ! though precondition for regular maintenance of services. I have so many stories with my motorbikes . Yesterday, I am with my motorbike and my camera gears at the Buriganga 2nd bridge at Keraniganj part in Dhaka during my news coverage. Love the life you live. Live the life you love . . .
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়ারোকে কাছে থেকে দেখা . . .
নোট / বাম থেকে মনিরুল আলম, ইপিএ, আজাদ মজুমদার, ইএফই, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়ারো, আর্জেন্টিনা, জুলহাস আলম, এপি এবং ইমরান গর্জন এপি । গ্রুপ এই ছবিটি তুলে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই সান্তিয়াগোর অনুবাদকে তার নামটা জানা হয়ে উঠেনি। ছবি সৌজন্য : সান্তিয়াগোর অনুবাদক, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
এই ফেব্রুয়ারিতে ২০২৩ আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়ারো তিন দিনের রাষ্টীয় সফর করেন—ঢাকায় । সফরত সময়ে রাষ্টীয় অতিথি ভবন যুমনা, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ( বাফুফে ) এবং পরিশেষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল তার নানা কর্মসূচি গুলো নিউজ কাভারেজ করি ।
প্রতিটি নিউজ কাভার করার সময়ে সান্তিয়াগো’কে কাছে থেকে দেখে মনে হয়েছে, সে খুব আন্তরিক, প্রানবন্ত একজন হাসিখুশি মানুষ । বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ( বাফুফে ) তে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল এবং কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে নিজ থেকেই একটা গ্রুপ সেলফি তুললেন, তার হাতে থাকা মোবাইলটি দিয়ে ! আবার দেখা গেলে বাফুফে কর্মকর্তার হাত থেকে মেডেল গ্রহণ করার সময় মেডেলটি দুই হাতে উঁচু করে ধরে বেশ উচ্ছাস দেখালেন !
ক্যাপশন / আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়ারো সফর সঙ্গী আল্ট্রা রানার Sebastian Gubia সাথে আমি । বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ( বাফুফে ) অফিস প্রাঙ্গনে । ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ছবি : মনিরুল আলম
বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাধভাঙ্গা উচ্ছাস, সমর্থন—ম্যারাডোনা, মেসিদের প্রতি গভীর ভালোবাসাই আর্জেন্টিনা দেশটি, তাদের কূটনৈতিক মিশন খুলতে ঢাকায় চলে এলেন, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো । তিনি এসে দেখে গেলেন, বিশ্বের এ প্রান্তের মানুষেরা বর্তমান বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলটির প্রতি— কি অনুরাগ ! দেশ, ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, জাতিভেদে— মানুষে মানুষে ভালোবাসার বন্ধনই সবচেয়ে বড়। আমার পক্ষ থেকে আবারো অভিনন্দন জানাই এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিকে ।
প্রথম এই ছবিটা সেদিন—আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়ারোর সাক্ষাৎকার শেষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তোলা। বিদেশী মিডিয়াতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে তার একটা স্বাক্ষাৎকার পর্ব ছিল তখন । গ্রুপ এই ছবিটি তুলে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই সান্তিয়াগোর অনুবাদকে, তার নামটা জানা হয়ে উঠেনি। ধন্যবাদ জানাই, ইএফই সাংবাদিক আজাদ ভাই, এপি’র সাংবাদিক জুলহাস ভাই এবং ধন্যবাদ জানাই এপি প্রিয় ভিডিও জার্নালিস্ট আল ইমরান গর্জন’কে ।
ক্যাপশন / পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়ারো সাক্ষাৎকার জন্য আমাদের অপেক্ষা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা । ছবি : মনিরুল আলম
এই সময়ে তার দূরন্তপনার সাথে পেরে উঠা খুব একটা সহজ নয় ! স্কুল শেষ করে বাসায় ফিরে, বাবাকে জড়িয়ে ধরে —‘বাবা’ বলে তাঁর সেকি আদর ! তারপর শুরু হয় তার কথামালা, সেখানেও তার সাথে পেরে উঠা দায় ! আহা সময় ! অতঃপর আমার হৃদয়ের মাঝে এক অদ্ভুত ভালোলাগা তৈরি হয় ! আহা ভালোবাসা ।
যতো দূর মনে পরে—আমি ছেলেবেলায় বাবার কাছে থেকে খুব দূরে দূরে থাকতাম ! তার প্রতি ছিল খুব ভয় ! বড় হয়েও বাবা-ছেলের মধ্যে সেই দূরত্ব থেকে গেল ! সেই ভয় আর এই জীবনে কাটলো না । বাবা চলে গেলেন না ফেরার দেশে ! আজ অনেক আফসোস হয় ! ভদ্রলোক ছিলেন গভীর মনের মানুষ— একজন জ্ঞানী ব্যক্তি । তবে যতো সখ্যতা আর দাবি-দাওয়া ছিল, তা ছিল সব মায়ের সাথে ।
ঢেউ’কে দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার কথা বললে, সবার আগে সে রেডি ! ভাইকে সে বলে, ভাই তুই তাড়াতাড়ি রেডি হ ! আমরা বেড়াতে যাবো না ? অন্য দিকে তার মা তাকে বলে বেশি কথা বললে বেড়াতে যাওয়া কেনসেল !
আমি যতই বলি “মা” বেড়াতে গেলে তুমি কিন্তু দুষ্টমি করবা না, কে শোনে কার কথা ! খোলা জায়গা পেলে তো আর কথাই নেই । আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে- নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে ?
এই ছবিটা সেদিন— অমর ২১শে বই মেলায় তোলা । তার একটা পোট্রট । শত চেষ্টার পর তোলা । যদিও আমি আদর করে, আমার লক্ষী ‘মা’ বলে ডাক দিলেই সে এক দৌড়ে চলে আসে—আমার বুকে ! আমাদের ছোট দুই মানুষদের প্রতি ভালোবাসা । আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া তারা যেন এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ, সুন্দর মানুষ হয়ে গড়ে উঠে ।
Today 4 November, I am with Joumana El Zein Khoury, Executive Director, World Press Photo Foundation after discussion on the topic of ‘Photography for Impact – Responding to the changing world’ moderated by Shahidul Alam one of my photographic teacher and Managing Director, Drik Picture Library.
To me it’s a really thoughtful talks which is helpful for practicing photojournalism nowadays.
This event is organised as part of the Dhaka tour of World Press Photo 2022 exhibition. Thanks to Drik, for such a beautiful arrangement.
Good bye Cox’s bazar, my footsteps to the longest natural sea beach in the world. For me the magnitude of the seashore are always fascinate to seeing its views and spending times on the beautiful seashore.
And finally thanks to all of my friends and administrative personnel with their cooperation. And I had to stop for three nights to the hotel Shaibal, such a lovely place and with their pleasant companion, goodbye for now and hope to see you again . . .
আলী আমজাদের ঘড়ি, সিলেট শহর । জুন, ২০২২ ছবি: মনিরুল আলম
সিলেট শহরের গল্প গুলো সব সময় আমাকে কাছে টানে। মূলত এর ভূ-প্রকৃতিগত এবং ঐতিহাসিক কারণে । আমি যতোবার এই শহরে আসি মুগ্ধ হই এর সুন্দরের প্রতি। ‘আহা, কী অসাধারন সেইসব সৌন্দর্য ! যদিও এবারের বন্যা পরিস্থিতি, ২০২২ সেই চিত্রটি বদলে দিয়েছে ।পুরো জেলাই সপ্তাহজুড়ে বন্যার পানিতে আক্রান্ত ছিল । এখন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হচ্ছে ।
এবারের বন্যা পরিস্থিতি, ২০২২ কাভার করার জন্য অল্প সময়ের জন্য এসেছিলাম এই জেলায় । জেলা শহর থেকে উপজেলা শহর সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করলাম । বন্যায় আক্রান্ত মানুষদের দুঃখ-কষ্ট বেড়েছ । তবে তারা সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন । আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের এই দূর্যোগ থেকে রক্ষা করেন।
এই শহরের মানুষ গুলো খুব আন্তরিক। তাদের ভালোবাসার অসাধারন এক ক্ষমতা আছে, যা আমাকে মুগ্ধ করে । মানুষকে ভালোবাসতে শিখায় ।এবারও সেই ভালোবাসার এতোটুকু কমতি দেখিনি।যদিও সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে উঠেনি, পরিবেশ এবং পরিস্থিতির ভিন্নতার কারণে। হয়তো কোন এক সময় সুযোগ হলে আবার আসবো এই প্রিয় শহরে। সবার জন্য শুভ কামনা । গুডবাই সিলেট . . .
আমন ধানের চাল দিয়ে ভাত রান্না করলে, সেই ভাত খেতে অন্যরকম এক স্বাদ পাওয়া যায় । আগে আমাদের গ্রামের বাড়ী ‘হিজুলিয়া’ থেকে নিয়মিত সেই চাল আসতো। আমাদের ঢাকার বাসায়, সাথে আসতো খাঁটি সরিষার তেল, খেজুরের গুঁড় সহ—নানা সুস্বাদু খাবার !
এসব মূল্যবান খাবারের মর্ম ছোট বয়সে ঠিক বুঝে উঠতে শিখিনি। এখন এই বয়সে এসে, সেইসব খাবারের মর্ম উপলব্ধি করি । কিন্তু সময় পেরিয়ে গেছে ! ইচ্ছে করলেই সেই সময়কে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় ! যদিও শহুরে জীবনাচরণে বড় হয়ে উঠা এই আমি, আমাদের পরিবার । তথাপি, হিজুলিয়ার সেই ছোট্ট গ্রামের মায়া ত্যাগ করতে পারিনি । সেটা সম্ভব নয় —এই জীবনে । আমার বাবা, দাদা-দাদী পরম শান্তিতে এই হিজুলিয়ার মাটিতে দিয়েছেন—একঘুম । আমারও ইচ্ছা মৃত্যুর পর, এই হিজলের মাটিতেই দেবো দীর্ঘ ঘুম, পরম শান্তিতে—নিঃশব্দে !
ছোটবেলার সেইসব স্মৃতি মাঝে মাঝে মনের গহীনে এক বিশাল ছায়া ফেলে । ফিরে যাই আমার সেইসব সুখ-দুঃখ ভরা কৈশোরের জীবনে । হিজুলিয়ার সেই পুকুর ঘাট, মাছরাঙ্গা পাখির বসে থাকা, একা দাড়িয়ে থাকা হিজল গাছ, সেই সিঁদুরে আম গাছ । কিংবা ছোট খাল পেরিয়ে করবস্থানের পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে, দিগন্ত বিস্তৃত সরিষা ক্ষেতে হারিয়ে যাওয়া ! আহা, আমার সেইসব দুরন্তপনা ! সেইসব কৈশোর !
আমাদের মানিকগঞ্জে এখনো প্রচুর সরিষার চাষ হয় । ফুপাতো ভাই, মুকুলের আহবান থাকে, শীতকালে বাড়ী যাবার জন্য । খেজুরের রস, খেজুরের গুঁড় দিয়ে তৈরি পিঠা খাবার জন্য । শীতের সময় সরিষা ক্ষেত দেখতে খুব সুন্দর লাগে । চারিদিকে শুধু হলুদ আর হলুদের সমারোহ। আখ এবং খেজুরের গুঁড়ের জন্য এই এলাকা এখনো বিখ্যাত হয়ে আছে । আমন ধানের চাষ একসময় ব্যাপক হতো, এখন আর সেই আকারে চাষ হয় না ।
সকালে মায়ের হাতে মাখানো বাসি-ভাত ছিল আমার খাবারের তালিকায় পছন্দের একটি খাবার । সরিষার তেল, মরিচ, পিয়াজ, লবণ আর ধনিয়া পাতা দিয়ে মাখানো সেই ভাত খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।পেটপুরে সেই খাবার খেয়ে, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতাম ! ততোক্ষণে স্কুলে, কলেজে যাবার সময় হয়ে যেতো । আমার মায়েরও এই খাবারটা তার পছন্দের তালিকায় ছিল । বাবা অবশ্য ডিম ভাজা দিয়ে ভাত খেতে পছন্দ করতেন !
ঢাকা শহরে পার্ট-টাইম চাকুরি করে আইন বিষয়ে পড়াশোনা চালিয়ে, আইন পেশায় নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবি হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন— আমার বাবা । এখন উপলব্ধি করি সেই সময়ে শহুরে জীবনের সংসার চালাতে কিছুটা অর্থনৈতিক সমন্বয় করাটা কেন জরুরি ছিল !
এখন নানা কারণেই সেই আমনের চাল গ্রামের বাড়ি থেকে আসে না । যদিও মাঝে মধ্যে সরিষার তেলটা আনা হয়, সেটাও এখন অনিয়মিত ! আমাদের মায়ের দীর্ঘ অসুস্থতা, সামাজিক নানা কারণ-অকারণে জীবনের কিনারা ঘেঁষেই এই শহর কেন্দ্রিক জীবন চলে যাচ্ছে ।
সেদিন বুবলীকে বলেছিলাম, ধনিয়া পাতা, সরিষার তেল দিয়ে মাখা বাসি-ভাত খেতে খুব ইচ্ছে করছে ! বুবলী তার ছোট্ট পরিসরে সেই আয়োজন করেছিল, তাকে ধন্যবাদ ।
মায়ার এই সংসারে মেঘ-ঢেউ বড় হয়ে উঠছে, এই শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে তারা ! ওরা নিশ্চই একদিন ওদের হিজুলিয়া’কে চিনে নিবে . . .
শীতকাল বিদায় নিচ্ছে । মাঘের শেষ শীত যেন বেশ জাকিয়ে বসেছে গ্রামাঞ্চলে । ঢাকায় বসে তা খুব একটা অনুভব করা যায় না ! এবারের শীতে খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি ভাপা পিঠা খাওয়া হয়েছে । আমার ফুপাতো ভাই মুকুল গ্রামের বাড়ী থেকে ভাপা পিঠা এবং দুধ চিতই পিঠা নিয়ে এসেছিল । মজা করে খাওয়া হয়েছে । আগে এই পিঠা-পুলি এবং খেজুরের রস খেতে শীতকালে গ্রামের বাড়ী যাওয়া হতো বেশ কয়েকবার । তখন দাদা-দাদী, বড় ফুপু বেঁচে ছিলেন । এখন বছরে একবারও যাওয়া হয়ে উঠে না । তবে নাড়ির এই টান একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাইনি, আমার !
বেশ কিছুদিন হলো আমাদের ছাদ-বাগানে যাওয়া হয়ে উঠেনি । নিজের নানা ব্যস্ততার পাশাপাশি, শীতজনিত রোগে সারা মাস জুড়েই পরিবারের কেউ না কেউ ভুগেছে । মায়ের শরীরটা এই শীতে কিছুটা ভালো থাকলেও, শীতের শেষে এসে আবার খারাপ করতে শুরু করেছে । আমাদের মায়ের জন্য দোয়া চাই ।
ছাদ-বাগানের জন্য বেশ কিছু নতুন ফুল গাছ নিয়ে আসা হয়েছে । সেদিন বিকেলে নতুন লাগানো ফুল গাছ গুলো দেখার পাশাপাশি পুরোনো এই পাথরকুচি ( ঔষধি উদ্ভিদ ) গাছে ফুটে থাকা ফুলগুলো দেখছিলাম খুব সুন্দর লাগছিল । বিকেলের আলোয় ফুলগুলো অসাধারন লাগছিল । পেশা এবং নেশা এক হলে যা হয় । সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ধারণ করলাম । ( ভিডিওটি পোষ্টে যোগ করে দিয়েছি )
আজকের দিনটি পহেলা ফাল্গুন । পালিত হচ্ছে বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস এবং সুন্দরবন দিবস, সবাইকে দিবস গুলোর শুভেচ্ছা জানাই । পাশাপাশি সবাই সুস্থ থাকি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করি । সবার জন্য শুভ কামনা . . .
মনে মনে বৃষ্টির আশংকা করছিলাম, সেই চিন্তা থেকে ক্যামেরা ব্যাগের মধ্যে ছাতা, রেইনকোট নিয়ে নিলাম সঙ্গে এক বোতল পানি । যাবো ধামরাই উপজেলায়, EPA-EFE এর জন্য একটা ষ্টোরি করতে হবে, সঙ্গী আমার প্রতিদিনের বাহন মটরসাইকেল । ঢাকা থেকে সড়ক পথে এই উপজেলাটির দূরত্ব প্রায় ৪২ কিলোমিটার, এখানে আগেও আসা হয়েছে।
বর্ষা মৌসুম শুরু না হলেও বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে । গ্রীষ্মকাল শেষ হতে চলছে, আর ২/৩ দিন পরই শুরু হবে আষাঢ় মাস অর্থাৎ—বর্ষাকাল । খাল-বিল তখন ভরে উঠবে বর্ষার পানিতে, শুরু হবে নৌকা চলাচল, অবিরাম বৃষ্টি পরা শব্দের সাথে শোনা যাবে, ডোবায় ব্যাঙের ডাকাডাকি !
মনের আশংকা সত্য হলো । ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার, নবীনগর এলাকাতে পৌঁছানোর পর শুরু হলো, আকাশ থেকে মেঘের হাকডাক আর বিদ্যুৎ চমকানো । একটু পরেই আকাশ কালো করে শুরু হলো ঝুম— বৃষ্টি ! অগত্যা সড়কের পাশে মটরসাইকেল রেখে—ছাতা, রেইনকোট নিয়ে দাড়িয়ে পড়লাম । আকাশ থেকে তখন ভারি বৃষ্টি পরছে, একটা অসাধারন বৃষ্টির ল্যান্ডস্কেপ চোখের সামনে দেখলাম । সেই সাথে বৃষ্টির শব্দ—এক কথায় অসাধারন লাগলো সেই মুহুর্ত ! মাঝে মাঝে বাতাসে বৃষ্টির ঝাপটা আমার ছাতাকে পাশকাটিয়ে ভিজিতে দিচ্ছিল আমাকে; এ এক অদ্ভুত অনুভুতি !
ঝড়ো বৃষ্টি-টি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না, ১০/১২ মিনিট ছিল, বৃষ্টি একটু কমতেই শুরু হলো, আবার আমার মটরসাইকেল যাত্রা ! গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি কেটে কেটে একটা সময় চলে এলাম আমার নিদিষ্ট গন্তব্যে — ওয়েল কাম টু ধামরাই উপজেলা ।
ধামরাই উপজেলার উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো এখানেই বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রাচীন ও দেশের বৃহত্তম রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় । হিন্দু সম্প্রদায়ের পূণ্যার্থীরা সারাদেশ থেকে এই রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দলে দলে এখানে আসেন, প্রতিবছর ।
ষ্টোরি-টি শেষ করতে প্রায় দেড়ঘন্টা সময় পার হলে গেল, ততোক্ষণে বৃষ্টি থেমে গেছে । এবার আমার ঢাকায় ফেরার পালা । ধামরাই বাজারে দেখতে পেলাম বিশাল— সেই জগন্নাথ রথটি । বাজার থেকে এক প্যাকেট পাউরুটি, কলা আর জাম কিনে নিলাম । মটরসাইকেল ড্রাইভ করতে করতে কোথাও থামিয়ে দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিবো। শুরু হলো আবার সেই আড়াই ঘন্টার মটরসাইকেল যাত্রা— রিটার্ন টু ঢাকা ।