ছোট ছোট কথা . . .

দিনমজুর মামুন টুকরি মাথায় দাড়িয়ে, পুরান ঢাকা ছবি: মনিরুল আলম

সকাল সকাল মেঘ’কে নিয়ে ছুটলাম স্কুলে তার ভর্তি পরীক্ষা আছে । এ বছরও মেঘ’কে নিয়ে শুরু হয়েছে ভর্তি যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা ! আহা—আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা !

ঘূর্ণিঝড় ‘ফেথাই’ দূর্বল হয়ে পড়েছে কিন্তু এর প্রভার পড়েছে—সারা দেশে । গত দুই দিনে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অনেক । একদিকে নিম্নচাপ আর অন্য দিকে শীত । জানা গেলে; সামনেই শৈত প্রবাহ আসছে— আসছে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ।

গতকাল মেঘ’কে নিয়ে বাসায় ফিরলাম বৃষ্টিতে ভিজে । আজ ছাতা নিয়ে বের হয়েছি; বৃষ্টি নেই— সূর্য মামারও দেখা নেই তবে আবহাওয়া একটা গুমোট ভাব রয়েছে । স্কুল গেটে দাড়াতেই হাতে একটা লিফলেট ধরিয়ে দিল—ভোট চাই ! আবার কেউ কেউ নতুন স্কুলের ঠিকানার লিফলেট হাতে গুঁজে দিচ্ছে !

দিনমজুর মামুনের সাথে কথা হলো — ইট টানার টুকরিটা মাথায় দিয়ে, টুপি মাথায়— একটা গামছা শরীরে জড়িয়ে দাড়িয়ে আছেন, আজকের মতো তার ইট টানার কাজ শেষ। একটু পরেই পাওনা বুঝে ফিরে যাবেন; ভোর রাইতে উঠছি, আইজ ইট টানার কাজ পাইছিলাম— কোনদিন কাজ পাই আবার পাই না । আইজ মোট ৮০০ টাকা কামাই করছি । সে ঢাকা শহরে এসেছেন কয়েক বছর হলো, দিনমজুর হিসাবে কাজ করছেন । মামুনের সাথে কথা বলতে বলতে আমরাও ফিরে চলি—আমাদের গন্তব্যে . . .

পুরান ঢাকা, বাহাদুর শাহ পার্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

ছোট ছোট কথা . . .

অর্ণব এবং আদ্রিতা জমজ ভাই বোন । ছবি: মনিরুল আলম

১. সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা শেষ করে চা এবং পত্রিকা নিয়ে বসেছি—আজ শুক্রবার আমাদের পারিবারিক একটি দাওয়াত আছে— সন্ধ্যায় । আমরা যাবো সেখানে—‘মা’ যাবেন না শারীরিক ভাবে ‘মা’ খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ।

চা খেতে খেতে খোঁজ খবর করছিলাম ডেইলি নিউজ ইভেন্টে আজ উল্লেখযোগ্য কি কি আছে ? জানা গেল ‘হ্যাসট্যাগ মি টু’ নিয়ে বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকদের একটা মানববন্ধন আছে—জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, বেলা আড়াইটায় । পশ্চিমা বিশ্ব থেকে শুরু হওয়া এই ‘হ্যাসট্যাগ মি টু’ আন্দোলন এখন বাংলাদেশে । নারী এবং শিশুদের উপর যৌন নিপিড়নকারীর মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য মূলত এই আন্দোলন ।বাংলাদেশে এটাই হচ্ছে প্রথম ‘হ্যাসট্যাগ মি টু’ সংহতি মানববন্ধন ।

২. শুভ জন্মদিন ছোট দুই মানুষ—অর্ণব এবং আদ্রিতা ! ওরা আমার কাজিন / cousin ( সুমন ) সুমন-শিমুর জমজ দুটি ছেলে-মেয়ে, থাকে ঢাকার রায়ের বাগে । আমরা ওদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলাম । মেঘ, ঢেউ, নীল, অর্ণব, আদ্রিতা এরা হলো আমাদের পরিবারের ছোট গ্যাং । ওরা সবাই এক সঙ্গে হয়ে সেকি আনন্দ ! অনেক মজা হলো—অনেক দিনপর পারিবারিক আড্ডা হলো ! আমার কাজিনদের তিন ভাই-বোনের মধ্যে সুমি এখন বাংলাদেশে নেই, পরিবার নিয়ে সে এখন মধ্যপ্র্যাচে থাকে, সুমন এবং শুভ দেশে আছে দুজনেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জব করছে, বিয়ে করে সংসারি হয়েছে— ওরা । আমাদের এই আড্ডায় সুমিকে মিস করলাম !

২১শ শতাব্দীর এই পৃথিবীতে মানুষের বসবাস এবং জীবনধারণের চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে— আজ ! সময়ের বিবর্তনে একান্নবর্তী পরিবার গুলো ভেঙ্গে তৈরি হয়েছে, একক পরিবার— কনসেপ্ট ! আমরা ছুটছি; প্রতিদিন—প্রতিনিয়ত ! আজ অনিবার্য হয়ে পড়ছে আমাদের এই ছুটে চলা । হয়তোবা পরিবারের সবাইকে আর একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব নয় তবু প্রত্যাশা থাকে আমরা হয়তো কোন একদিন মিলিত হবে সেই সব ছোট ছোট ভালোবাসা নিয়ে . . .

রায়ের বাগ, ঢাকা

১৬ নভেম্বর ২০১৮

Witness My Time . . .

Hindu devotees sits with lamps and pray at the Shri Shri Lokanath Brahmachar Ashram temple during the Rakher Upobash in Dhaka, Bangladesh, 10 November 2018. © Monirul Alam

I thinks it’s a —Light Pray Worship events ! The environment gradually turn from darkness to light. As an eyewitness I delighted to observed it, last week I was their and to do coverage a beautiful events. It’s Hindu religious worship.They called  “Rakher Upobash” or “Kartik Brati”. 

I takes on my position and than closely observe the events. The ritual begins after a day long fast to all devotees has been going to their temple for join worship during the worship they carries with earth made oil lamps, banana leaves, various fruits, holy book with all religious manners; they sits on the temple ground and than praying with sacred songs and music; they pray for their love ones, the environment creates with smoke and spiritual sprit, after their prayers then they brake fast.

Lokenath Brahmachari who is called Baba Lokenath was an 18th century Hindu saint and philosopher in Bengal. Sometimes he is even considered to be a living god. Hindu devotees fast and pray in earnest to the gods for their favors during the ritual traditionally. #Dhaka #Bangladesh

ছোট ছোট কথা . . .

snapseed-6-e1540662037661
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে চলছে ফানুস ওড়ানো । ছবি : মনিরুল আলম

মেঘের স্কুলে পুজার ছুটি এখনো চলছে, আগামী রবিবার তার স্কুল খুলবে । মেঘ’কে বললাম চল—ফানুস উড়ানো দেখে আসি, আজ প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ একটা দিন । মেঘ আমাকে বলল—ফানুস কি ? আমি তাকে বললাম—চল গেলেই দেখতে পাবি ! বিকেলের দিকে বাপ-বেটা মিলে মটর সাইকেলে করে ফানুস উত্তোলন উৎসব দেখতে চললাম—ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে ।

বৌদ্ধ মন্দিরে প্রবেশ করে মেঘ’কে ঘুরে ঘুরে দেখালাম, সে বলে— সে এখানে আগে কোনদিন আসে নাই । আমি তাকে বললাম, অপেক্ষা কর সন্ধ্যার দিকে ওরা ফানুস উড়াবে—আকাশে । বাপ-বেটা মিলে মন্দিরের সবচেয়ে বড় উঁচু বৌদ্ধ মূর্তিটির সামনে অপেক্ষা করতে লাগলাম ।

প্রবারণা পূর্ণিমার উল্লেখ যোগ্য দিক হলো পূজা-অর্চনা শেষে—আকাশে ফানুস ওড়ানো । বৌদ্ধশাস্ত্র মতে— বুদ্ধদেব আধ্যাত্মিক শক্তিবলে দেবলোকে পৌছে মাকে ধর্মদেশনা করে এদিন স্বর্গ থেকে মর্ত্যে ফিরে আসেন । এ কারণে বৌদ্ধরা প্রবারণা পূর্ণিমায় আকাশে প্রদীপ প্রজ্বলনের প্রতীকরুপ ফানুস উত্তোলন করে ।

আমরা দেখলাম ততোক্ষণে বৌদ্ধভিক্ষুরা প্রাঙ্গটিতে ফানুস এনে জড়ো করতে শুরু করেছে । বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কেউ কেউ বৌদ্ধমূতিটির সামনে বসে প্রার্থনা করছেন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করছেন ।

সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে মাইকে ঘোষণা এলো—এখনই শুরু হবে ফানুস উত্তোলন উৎসব ! আমরা বাপ-বেটা প্রস্তুত তা দেখার জন্য; সাথে আমাদের আর এক সঙ্গী ক্যামেরা . . .

“দিতে পার একশ’ ফানুস এনে

আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।”

—হুমায়ুন আহমেদ / শঙ্খনীল কারাগার

সবুজবাগ, ঢাকা । ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার । অক্টোবর ২০১৮ ।

ছোট ছোট কথা . . .

বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন । ছবি: মনিরুল আলম

এবার দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছিল—ঘোড়ায় চড়ে আর ফিরে গেলেন—দোলায় চড়ে । প্রতিবার দুর্গোৎসবে আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে দুর্গা আসা-যাওয়ার বাহনটি সম্পর্কে। তার এই ধরাতলে গমনাগমনের বার্তাটা কি ? মূলত প্রতি বছর গজ, ঘোটক, নৌকা, দোলা এইসব বাহনে করে তার মর্ত্যে গমনাগমন ঘটে । তার এই আসা ও যাওয়ার সময় শুভ, অশুভ, ক্ষয়ক্ষতি একটা বার্তা বহন করে । আর এটা পুরাকালের মুনি, ঋষি ও পণ্ডিতরা গবেষনা করে এই বাহনে গমনাগমনের বার্তাটি অনুধাবন করেছিলেন ।

শাখারী বাজার, পাটুয়াটুলি হয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম সদরঘাট—বুড়ীগঙ্গা নদীর তীরে । বিনা স্মৃতি ঘাটে প্রবেশ করতেই মনটা এক অদ্ভুত ভালো লাগায় পেয়ে বসলো ! নদীটির পশ্চিম আকাশে তাকাতেই দেখলাম সূর্যটি ততোক্ষণে লালা রং ধারণ করেছে—আজকের মতো সে বিদায় নিচ্ছে এই ধরাতল থেকে আর তার এই বিদায়ের সঙ্গী হয়েছেন—দূর্গা দেবী !

পুরান ঢাকা । ওয়াইজঘাট, বিনা স্মৃতি ঘাট । অক্টোবর ২০১৮

WITNESS MY TIME . . .

18 October 2018 ~ I used to see Durga Puja festival today. Many Puja Mandap has been makeshift install in different places of Old Dhaka. During my walking with crowd people seen a large elephant walking with mahout’s who is ride him through mass traffic—The true essence of beauty lies in old part of Dhaka not only Durga Puja festival— You see anytime ! © Monirul Alam