গ্রামের আঁকাবাঁকা পথে আমরা . . .

©Monirul Alam
©Monirul Alam

 

অনেক অনেক দিন আমরা বেড়াতে বের হই না । পরিবারের সকলে মিলে বেড়ানোর আনন্দটা- খুব মজার ! সেই চিন্তা থেকেই বের হয়েছিলাম- সেই সাথে একটা ছোট কাজ ছিল-বৈকি ! আমরা পরিবারের কয়েক সদস্য মিলে গিয়ে ছিলাম-গাজীপুর,কালীগঞ্জের বক্তারপুর গ্রামে ।

সঙ্গে আমাদের ছোট সদস্যরা হলো- মেঘ, আদিবা আর পৃথা । গ্রামটিতে পৌঁছে- কেন যেন খুব ভালো লাগলো। সবাই মিলে খুব আনন্দ শুরু করলাম । আমাদের ক্ষুদে বাহিনীর সদস্যরা এ রকম খোলা মাঠ, গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, বাঁশ বাগান, কাঁঠাল বাগান, বিল,ধান ক্ষেত আর মাটির তৈরি ঘর-বাড়ী দেখে আনন্দবিহবল। আমি আমার ছোট ক্যামেরাটিতে- তাদের সে সব ছোট ছোট স্মৃতি ধরে রাখতে চাইলাম।

আমরা যে এলাকাতেই গিয়েছিলাম এটা বেলাই বিলের একটা অংশ । আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে যেতে আমাদের চোখে পড়ল শাপলা-শালুক ফুটে আছে বিলে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানলাম এ এলাকাটি মূলত বেলাই বিলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে । এ বিলের উপর- ছোট ছোট দ্বীপের মত গড়ে উঠা ঘর-বাড়ী খুব আকষন করলো আমাকে । ঋতুভেদে তার ভিন্নতা চোখে পরে।

ইব্রাহীম ভাই এর বাড়ীতে আমরা দুপুরের খাবার খেলাম। মাটির চুলাতে রান্না করা সুস্বাদু সে সব খাবার মধ্য ছিল- পুঁটি মাছ,ডিম,মাংস,ভাত আর ডাল। তার ঘর গুলো মাটি দিয়ে তৈরি। মোট তিনটি ঘর । তার কাছ থেকে জেনে নিলাম; এরকম একটা মাটির ঘর তৈরি করতে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয় ।

আমরা দুপুরের খাবার শেষ করে আরো বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে বেড়ালাম। অনেক অনেক ছবি তোলা হলো সবার । পৃথার এই পোট্রেটি ইব্রাহীম ভাই এর মাটির ঘরের জানালার সামনে তোলা ।

বিকেলের আলো তখন পশ্চিম দিকে গড়াতে শুরু করেছে । আর আমাদের গাড়ী ততোক্ষণে ঢাকার গন্তব্য ফিরে চলছে . . .

পাতলা খান লেন পুরান ঢাকা
২২, নভেম্বর ২০১৪